ইতিহাস তৈরি করে ফিরল চন্দ্রযান, সঙ্গে নিয়ে আসা নমুনা থেকে জানা যাবে বিরল তথ্য
![Image](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhsGyUH3cXIDh2VYKLeZqRxOuyi-6KWwRmG0TYqVLng3g9QJXtyUsFqqCWCf94SiDex5lIaPxQWZLi_GY_HZV-izFqZFN7E6loMRslB7A_VJvFJ_4Gig56S0NUbV5-U4JUGMoC7fweYNubcMuaemttO0BQsPLKbAAnuL9KN92um0o2JKj7w0s_M7HRs6Q/s320/p6.jpg)
আমেরিকার মিডওয়েস্টে প্রজাপতিদের ওপর হওয়া এক সাম্প্রতিক গবেষণায় কিছু বিষয় সামনে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার গবেষণাটি পিএলওএস ওএনই নামের একটি জার্নালে ছাপা হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, এতে প্রজাপতিদের সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য বাসস্থান সংকট বা জলবায়ু পরিবর্তনের দায় পাওয়া যায়নি। বরং কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করা কীটনাশককেই দায়ী করা হচ্ছে।
মিডওয়েস্ট এলাকায় ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। গবেষকরা বলছেন, বহুল ব্যবহৃত এক ধরনের কীটনাশক নিওনিকোটিনইডস গাছের টিস্যুতে মিশে যায়, যা প্রজাপতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।
গবেষণাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক স্কট উইনটন বলেন, ‘এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ঘটনাক্রম। সয়াবিনের পোকাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কীট দমনে উন্নত প্রযুক্তি দারুণ সহায়ক হলেও প্রজাপতির মতো নিরীহ অনেক প্রজাতিই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।’
এই গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন নেভাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একজন কীটতত্ত্ববীদ ম্যাট ফরিস্টার এই ‘গোয়েন্দা গবেষণার’ জন্য গবেষকদের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এই গবেষণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রজাপতিদের সংখ্যা কমে যাওয়া ঠেকানো যাবে।
আগের একটি গবেষণায় ম্যাট ফরিস্টার দেখিয়েছিলেন, পশ্চিম আমেরিকায় প্রজাপতির সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা আছে। অবশ্য নতুন গবেষণটির সঙ্গে সম্পৃক্তরা বলছেন, ২০১৪ সাল পর্যন্তই তাদের গবেষণাটি সীমিত রাখতে হয়েছে কারণ এর পরে নিওনিকোটিনইডসের ব্যবহার সম্পর্কৃত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এর কারণেই তারা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণের সঙ্গে বিষয়টির তুলনা করতে পারেন নি।
আগের একটি গবেষণায় ম্যাট ফরিস্টার দেখিয়েছিলেন, পশ্চিম আমেরিকায় প্রজাপতির সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা আছে। অবশ্য নতুন গবেষণটির সঙ্গে সম্পৃক্তরা বলছেন, ২০১৪ সাল পর্যন্তই তাদের গবেষণাটি সীমিত রাখতে হয়েছে কারণ এর পরে নিওনিকোটিনইডসের ব্যবহার সম্পর্কৃত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এর কারণেই তারা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণের সঙ্গে বিষয়টির তুলনা করতে পারেন নি।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং এই গবেষণায় যুক্ত লেসলি রাইস বলেন, ‘গত ১০ বছর ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ দশক। এই উষ্ণ দশকের প্রভাব কি? এটি নিয়ে আমাদের গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। তবে নিওনিকোটিনইডস ব্যবহারের তথ্য না থাকায় পূর্ণাঙ্গ গবেষণা যথেষ্ট কঠিন।’
অবশ্য গবেষণাটির ফলের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ রক্ষা এজেন্সির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
THE BUSINESS WORLD
Comments
Post a Comment