ইতিহাস তৈরি করে ফিরল চন্দ্রযান, সঙ্গে নিয়ে আসা নমুনা থেকে জানা যাবে বিরল তথ্য

Image
  প্রথমবারের মতো চাঁদের দূরবর্তী দিকের নমুনা সংগ্রহ করে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরেছে চীনের মহাকাশযান চ্যাংই-৬। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের ওই প্রান্তে আগে কখনও কোন যান অবতরণ করেনি। সম্পূর্ণ অজানা ছিল চাঁদের এই দূর্গম অঞ্চল। প্রায় দুই মাসের দীর্ঘ ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইনার মঙ্গোলিয়া মরুভূমিতে চ্যাংই-৬ সফলভাবে অবতরণ করে। খবর  বিবিসির। বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে চ্যাংই-৬ এর জন্য অপেক্ষা করছেন কারণ মহাকাশযানটির নিয়ে আসা নমুনাগুলো কীভাবে গ্রহ-উপগ্রহগুলো গঠিত হয়েছিল সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। চলতি বছরের মে মাসে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ হাইনানের ওয়ানচাং কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চ্যাংই-৬ চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ করা হয় ও রোববার এটি চাঁদের পৃষ্ঠে নামে। চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’- এর মতে, চ্যাং’ই-৬ প্রথমবারের মতো চাঁদের দূরবর্তী দিকের নমুনা সংগ্রহ করে ৪ জুন (মঙ্গলবার) যুক্তরাজ্যের সময় মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেছেন, চাঁদের পৃষ্ঠ খনন করার জন্য

হাকিমপুরী জর্দার মালিক কাউছ মিয়া মারা গেছেন


 জর্দা টাইকুন এবং হাকিমপুরী জর্দার মালিক কাউছ মিয়া মারা গেছেন।


২৬ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতাদের একজন ছিলেন।


কাউছ মিয়ার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। সোমবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন কাউস মিয়ার নাতি আনোয়ার সাদাত|


মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৮ মেয়ে রেখে গেছেন কাউছ মিয়া। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।


০২১-২২ করবর্ষে 'সিনিয়র সিটিজেন' ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতার পুরস্কার পেয়েছেন কাউস মিয়া। তবে এর আগের কয়েক বছরে তিনি ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতার পুরস্কার পেয়েছেন।


কাউস মিয়া ৬১ বছর ধরে কর দিচ্ছেন। কাউছ মিয়া ১৯৫৮ সাল থেকে কর দিয়ে আসছেন। ১৯৬৬ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শীর্ষ করদাতা হয়েছিলেন।


২০১৯ সালে এনবিআরের এক অনুষ্ঠানে কাউছ মিয়া বলেছিলেন, 'আগে টাকাপয়সা এখানে-সেখানে রাখতাম। এতে নানা ঝামেলা ও ঝুঁকি থাকত। ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দিয়ে "ফ্রি" হয়ে গেলাম। এরপর সব টাকাপয়সা ব্যাংকে রাখতে শুরু করলাম। হিসাব-নিকাশ পরিষ্কার করে রাখলাম।'


কাউছ মিয়া ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট চাঁদপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষরা তৎকালীন ত্রিপুরা রাজ্যের অধিবাসী ছিলেন।


১৯৪৫ সালে অষ্টম শ্রেণি পাস করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের দামামায় আর পড়াশোনা এগোয়নি। কিশোর বয়সেই চাঁদপুর শহরে ব্যবসায়ী হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। 


তার বাবা চাইতেন না তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে নামেন। কিন্তু কাউছ মিয়া চাইতেন তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের পুরান বাজারে মুদিদোকান দেন।


এরপর ধীরে ধীরে ১৮টি ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট ও সাবানের এজেন্ট হন। পরের ২০ বছর তিনি চাঁদপুরেই ব্যবসা করেন।


১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন এবং তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে ৪০-৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি। তবে তাঁর মূল ব্যবসা তামাক বেচাকেনা। রংপুরে তামাক কিনে সেখানেই বিক্রি করেন। একবার তিনি আমদানির ব্যবসায় নামতে লাইসেন্স নিয়েছিলেন।


মায়ের দেয়া আড়াই হাজার টাকার পুঁজিতে ১৯৫০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সফলভাবে ব্যবসা করে বিপুল নগদ অর্থ-বিত্তের মালিক হন কাউছ মিয়া। 

The Business World 

Comments

Popular posts from this blog

এসি চালু অবস্থায় সিলিং ফ্যান চালানো কি ঠিক?

Eid ul Adha 2024 date: When will Muslims in Saudi Arabia, India, UAE, US, UK, other countries celebrate Bakra Eid

সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান আইএসপিআরের