Header Ads Widget

ফের ভয়ংকর হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস?


 সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ১,৭০০ মানুষের

বাংলাদেশে জুনে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের দাপট কমে এসেছে বেশ আগেই। সারা বিশ্বেই এই মহামারি সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতো স্বাভাবিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপও এখন আর অনেকেই মানেন না।

আর এজন্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার হ্রাসের বিষয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “ক্রমাগত মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসা সত্ত্বেও ‘তথ্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ভ্যাকসিনের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তারাও রয়েছেন।”


তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা লোকেদের তাদের শেষ ডোজ নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আবারও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে ডব্লিউএইচও সুপারিশ করছে।”

একইসঙ্গে ভাইরাস নজরদারি এবং সিকোয়েন্সিং বজায় রাখতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে এবং নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।


উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারিতে মারা গেছেন ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ।


২০২৩ সালের মে মাসে করোনাভাইরাস মহামারি আর “বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা” নয় বলে ঘোষণা করেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

পরে একই মাসে ডব্লিউএইচও প্রধান অবশ্য বলেছিলেন, “বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও তা বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য হুমকির সমাপ্তি নয়। বিশ্বে করোনাভাইরাসের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত হওয়ার হুমকি এখনও রয়ে গেছে যা নতুন করে এই রোগ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে পারে। এছাড়া নতুন করে আরও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার মারাত্মক হুমকি এখনও রয়ে গেছে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, জুন মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে অনন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।


২০২০ সালে ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর তিন বছর পর গত বছরের মে মাসে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে বাংলাদেশে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১-কে “ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট” হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Post a Comment

0 Comments