হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের কোরবানিতে মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা সর্বোচ্চ। ফলে বড় গরু ছাড়া মোটামুটি সবই বিক্রি হয়ে গেছে। যা আছে তাও সন্ধ্যার মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা তাদের।
রাজধানীর তেজগাঁও, ধোলাইখাল, বসিলা হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে গাবতলীর হাটে এখন নতুন করে গরু আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত দুইদিনে তেজগাঁও হাটের জন্য নির্ধারিত মাঠ ছাড়াও আশপাশের সব গলিতে গরুর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে আজ সকালের পর থেকেই অনেকটা ফাঁকা পশুর হাটটি। বেলা একটার মধ্যে প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে কলোনি বাজার হাট। অপ্রধান সড়ক থেকে মাঠ, গুটি কয়েক গরু ছাড়া তেমন পশু চোখে পড়েনি। যা রয়েছে তাও বড় সাইজের গরু।
অন্যদিকে ধোলাইখাল হাটেরও একই চিত্র দেখা গেছে। বেলা ১২টার দিকে এই হাটে ঢুকে দেখা যায় ক্রেতারা ছাগলের হাটে বেশি ভিড় করছেন। রাস্তা ছাড়িয়ে অলিগলিতেও গরু নিয়ে বিক্রেতারা বসেছিলেন সেগুলো পুরো ফাঁকা।
মূল সড়কে সারি সারি গরু ছিল সেখানেও অল্প কিছু গরু রয়েছে। যা তুলনামূলক ছোট। স্বাস্থ্যের অবস্থাও ততটা ভালো নয়।
প্রায় ফাঁকা গরুর হাট, ক্রেতাদের নজর ছাগলে!
সরকারের পক্ষ থেকে গরুর সংকট হবে না বলা হয়েছিল ঈদের বাজার শুরুর আগেই। চাহিদার তুলনায় পশু বেশি আছে বলে জানিয়েছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। গত কয়েকদিনে রাজধানীর হাটগুলোতে তেমন চিত্রই দেখা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০টি নির্ধারিত হাটে বিপুল গরু, ছাগলসহ কোরবানির পশু এসেছে। শুরুর দিকে ক্রেতাদের আনাগোনা কম ছিল। যারা এসেছেন তারাও দাম শুনে চলে গেছেন। কিন্তু ঈদের আগের দিন বেশিরভাগ হাটের গরু বিক্রি হয়ে গেছে। অল্প কিছু গরু থাকায় ক্রেতাদের অনেকে ছাগল কেনায় মন দিয়েছেন।
হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের কোরবানিতে মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা সর্বোচ্চ। ফলে বড় গরু ছাড়া মোটামুটি সবই বিক্রি হয়ে গেছে। যা আছে তাও সন্ধ্যার মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা তাদের।
রাজধানীর তেজগাঁও, ধোলাইখাল, বসিলা হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে গাবতলীর হাটে এখন নতুন করে গরু আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত দুইদিনে তেজগাঁও হাটের জন্য নির্ধারিত মাঠ ছাড়াও আশপাশের সব গলিতে গরুর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে আজ সকালের পর থেকেই অনেকটা ফাঁকা পশুর হাটটি। বেলা একটার মধ্যে প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে কলোনি বাজার হাট। অপ্রধান সড়ক থেকে মাঠ, গুটি কয়েক গরু ছাড়া তেমন পশু চোখে পড়েনি। যা রয়েছে তাও বড় সাইজের গরু।
Dhaka-3অন্যদিকে ধোলাইখাল হাটেরও একই চিত্র দেখা গেছে। বেলা ১২টার দিকে এই হাটে ঢুকে দেখা যায় ক্রেতারা ছাগলের হাটে বেশি ভিড় করছেন। রাস্তা ছাড়িয়ে অলিগলিতেও গরু নিয়ে বিক্রেতারা বসেছিলেন সেগুলো পুরো ফাঁকা।
মূল সড়কে সারি সারি গরু ছিল সেখানেও অল্প কিছু গরু রয়েছে। যা তুলনামূলক ছোট। স্বাস্থ্যের অবস্থাও ততটা ভালো নয়।
ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে গরু নিয়ে আসা খামারি জুলহাস আলম ঢাকা মেইলকে বলেন, 'পাঁচটা গরু নিয়ে হাটে আসছিলাম। চারটা বিক্রি হয়ে গেছে। একটা ছোট গরু নিয়ে বসে আছি। লস হলেও বেঁচে দিয়ে যাব। এই গরুর কাস্টমার পাচ্ছি না।’
এদিকে ধোলাইখাল গরুর হাটের পাশেই ছাগলের ছোট হাট বসেছে। সেখানে বিপুল ছাগল দেখা গেছে রোববার বেলা ১২টার দিকে। ক্রেতার সংখ্যাও কম না।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেউ একা কোরবানি দেওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় ভাগে দিতেন। কিন্তু ভাগিদার ঠিকঠাক না পেয়ে গরুর বদলে ছাগল দিয়ে কোরবানি দিতে চাচ্ছেন।
অনেককে দেখা গেছে ছোট শিশুদের নিয়ে হাটে এসেছেন। অভিভাবকরা বলছেন, ছোটদের বায়না মেটাতে কেউ কেউ কষ্ট হলেও কোরবানি দিচ্ছেন। তাই সাধ্যের মধ্যে ছাগল কিনতে এসেছেন।
যাত্রাবাড়ী থেকে ধোলাইখাল হাটে দুই সন্তানকে নিয়ে ছাগল কিনতে আসা মশিউর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, 'গরু দিয়ে কোরবানি দিতাম। এবার বাজেট বেশি দরকার ছিল। কিন্তু সমস্যার কারণে ছাগল দিয়ে সাধ্যের মধ্যে কোরবানি দেওয়ার নিয়ত করেছি।
শেষ বেলায় গরু কম থাকায় ছাগলের বিক্রিও বেড়েছে। শরিয়তপুর থেকে তিনজন মিলে ২৫০টা ছাগল নিয়ে এসেছিলেন ধোলাইখালের হাটে। এদের একজন হাবিবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, '২০০র মতো ছাগল বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলো সন্ধ্যার মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে আশা করি।’
THE BUSINESS WORLD
0 Comments