ইতিহাস তৈরি করে ফিরল চন্দ্রযান, সঙ্গে নিয়ে আসা নমুনা থেকে জানা যাবে বিরল তথ্য

Image
  প্রথমবারের মতো চাঁদের দূরবর্তী দিকের নমুনা সংগ্রহ করে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরেছে চীনের মহাকাশযান চ্যাংই-৬। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের ওই প্রান্তে আগে কখনও কোন যান অবতরণ করেনি। সম্পূর্ণ অজানা ছিল চাঁদের এই দূর্গম অঞ্চল। প্রায় দুই মাসের দীর্ঘ ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ জুন) ইনার মঙ্গোলিয়া মরুভূমিতে চ্যাংই-৬ সফলভাবে অবতরণ করে। খবর  বিবিসির। বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে চ্যাংই-৬ এর জন্য অপেক্ষা করছেন কারণ মহাকাশযানটির নিয়ে আসা নমুনাগুলো কীভাবে গ্রহ-উপগ্রহগুলো গঠিত হয়েছিল সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। চলতি বছরের মে মাসে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ হাইনানের ওয়ানচাং কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চ্যাংই-৬ চন্দ্রযান উৎক্ষেপণ করা হয় ও রোববার এটি চাঁদের পৃষ্ঠে নামে। চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’- এর মতে, চ্যাং’ই-৬ প্রথমবারের মতো চাঁদের দূরবর্তী দিকের নমুনা সংগ্রহ করে ৪ জুন (মঙ্গলবার) যুক্তরাজ্যের সময় মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় পৃথিবীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেছেন, চাঁদের পৃষ্ঠ খনন করার জন্য

‘কোরবানির মাংসে আমাদের হক আছে, কিন্তু বড়লোকরা দেয় না’




কোরবানির ঈদে মাংস-ভাত খেতে কার না ইচ্ছে হয়! কিন্তু পশু কোরবানি দেয়ার সাধ্য তো নেই সবার। এক টুকরো মাংস পেতে বাড়ি বাড়ি ঘুরেন অনেকেই। কখনো জুটে আবার কখনো বা না। তবে কিছু মাংসের আশায় দিনভর ছুটে চলেন তারা। তবুও যদি পরিবারের সবাইকে নিয়ে মুখে তোলা যায় এক টুকরো মাংস। এ তালিকায় বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ ছাড়াও শিশুদেরও দেখা যায়। তাদের কথা মাথায় রাখেইবা কজন। তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শুনব আজ।



এক টুকরো মাংসের আশায় এক বিত্তবানের বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে বার বার কড়া নাড়ছেন বয়স্ক মানুষরা।

গ্রাম থেকে শহরের সব অলিগলিতে পশু কোরবানির পর দাতারা যখন মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যস্ত তখন এক দু-টুকরো মাংসের জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে মানুষগুলো।

ঈদুল আজহার দিনে সোমবার (১৭ জুন) দুপুরের পর কোরবানির মাংসের জন্য বাগেরহাটে শহরের বিত্তশালীদের বাড়ির গেটের সামনে ভিড় করতে দেখা যায় অনেককে। তারা শুধু এক টুকরো মাংস চায়, তাড়িয়ে দিলেও বারবার হাত বাড়ায়।



রামপাল বাশতিলী থেকে মাংস নিতে আশা আকলিমা বেগম বলেন, ‘আমাদের গ্রামে কয়েক বছর থেকে তেমন পশু কোরবানি হয় না। তাই তো এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের মতো উৎসবের দিনেও ব্যাগ নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।’

কাদের হাওলাদার বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ আমাদের কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নাই। দুই একটা পিস মানুষের কাছে চেয়ে বছরের একটা দিন খেতে পারি। অন্যের বাড়িতে থাকি, অন্যের বাড়িতে কাজ করি, মাংস খাওয়া কি আমাদের ভাগ্যে আছে। এই কোরবানির ঈদে অপেক্ষায় থাকি মাংস সংগ্রহ করে সন্তানদের নিয়ে একবেলা খাব।’

মাংস সংগ্রহ করতে আসা শিশু আশরাফুল বলেন, ‘দিনে তো ভালোভাবে এক বেলা খেতেই পাই না, সেখানে গরুর মাংস খাওয়া তো স্বপ্নের ব্যাপার। মাংস সংগ্রহ করতে আসছি, যা পাই বাবা মাকে নিয়ে খাব।’

মাংস সংগ্রহ করতে আসা শিশু আশরাফুল বলেন, ‘দিনে তো ভালোভাবে এক বেলা খেতেই পাই না, সেখানে গরুর মাংস খাওয়া তো স্বপ্নের ব্যাপার। মাংস সংগ্রহ করতে আসছি, যা পাই বাবা মাকে নিয়ে খাব।’

কোরবানি দেয়া শিমুল তালুকদার বলেন, বছর জুড়ে কোরবানি ঈদের মতো একটি দিনের জন্য যারা অপেক্ষা করে তারা দরিদ্র মানুষ। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরোয় মাংস কেনা যাদের কাছে বিলাসিতা এই কোরবানি ঈদে স্বপ্ন জাগে মাংস-ভাতের। তাই একটু সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত আমাদের।  

জেলা প্রাণিসম্পদের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেব আলী বলেন, এবার জেলায় প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার গবাদিপশু কোরবানি করা হয়েছে। সমাজের বিত্তবানদের উচিত সমাজের নিম্নআয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানো, এতে ঈদের আনন্দ বেড়ে যাবে। আশপাশের কেউ যেন এমন দিনে মাংস না খেয়ে থাকে এই বিষয়টিতে নজর দেয়া উচিত।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, সবার জন্য যেন ঈদুল আজহা হয়। আমরা জানি কোরবানির পশুর মাংসকে তিন ভাগ করা হয়। এক ভাগ নিজের, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন এবং একভাগ গরিব মানুষের জন্য। সবাই এ নীতি অবলম্বন করলেই সমাজ সুন্দর হয়ে উঠবে।



The Business World 

Comments

Popular posts from this blog

এসি চালু অবস্থায় সিলিং ফ্যান চালানো কি ঠিক?

Eid ul Adha 2024 date: When will Muslims in Saudi Arabia, India, UAE, US, UK, other countries celebrate Bakra Eid

সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান আইএসপিআরের